fbpx
Select Page

আমরা নতুন ফ্ল্যাটে আসার পর থেকে একটা সাদা-কালো রঙের বিড়াল বারান্দা দিয়ে প্রায় বাসায় ঢোকার চেষ্টা করত। আমাদের বিড়াল পালার অভিজ্ঞতা ছিল না তাই আমরা বিরক্ত হতাম এবং ঢুকতে দিতাম না। বিড়ালটাও নাছোড়বান্দা, চেষ্টা চালিয়ে যেত বাসায় প্রবেশের। বিড়ালটা প্রেগনেন্ট ছিল, আশপাশে কোথাও বাচ্চা হয় এবং পরে জানতে পারি বাচ্চা গুলো মারা যায়। আমার আম্মা মাঝে মাঝে বিড়াল কে খেতে দিতো পাশের টিনের চালে তাই বিড়ালটা বাসার কাছেই থাকতো। একদিন সকালে আমি থাই গ্লাস সরিয়ে আসার সুযোগ করে দিলাম পরে বিড়ালটা আসলো এবং আমাদের পায়ের সাথে তার শরীর ঘেঁষানোর চেষ্টা করলো। বাসায় ঢুকানোর পর অনেক কষ্টে তাকে বের করেছিলাম। এর পর মাঝে মাঝে ঢুকতে দিতাম বাসায়। কিছুদিন পর থেকে প্রত্যেকদিন আসা যাওয়া করতে লাগলো। মাঝে মাঝে বাসায় এসে ঘুমাতো। ঠিক আমাদের খাবার সময় চলে আসতো, আমরাও খেতে দিতাম, আদর করতাম। আমি কখন খাই, আমার আব্বা কখন খায়, বিড়ালটা জানতো, যেখানেই থাকতো খাবার সময়ে চলে আসতো। আমাদের খাবার টেবিল এর পাশে বিড়ালের জন্য দুইটা বাটি আছে একটাতে পানি থাকে, আরেকটায় খাবার। আমার আম্মা বিড়ালটা কে বিলেই ও বিল্লি বলে ডাকে ডাকে। আমার বোন ডাকে পুসি ক্যাট বলে। আমি বলি মাও কারণ তার ডাকের সাউন্ড মাও মাও। বিড়ালটা আমাদের বাসায় টয়লেট করে না, সব সময় বাইরে যেয়ে করে। মাঝে মাঝে জিনিসপত্র নষ্ট করে যেমন সোফা, চেয়ার, পাপোশ ছিড়ে ফেলতে চায়। অনেক সময় আদর করতে গেলে খামচাতে, কামড় দিতে চায়। তারপরও আমরা কিছু বলি না, বাসায় ঢুকতে দেই এবং খাবার দেই। মাঝে মাঝে ইঁদুর নিয়ে এসে বাসা নোংরা করে, আমরা পরিষ্কার করি। অনেকবার বমি করেছে বাসায় তারপরও আমরা কিছু বলি না। ২-১ দিন বাসায় না আসলে খোজ করি কোথায় গেলো ?

আরেকটা বিড়াল আছে সে ও সুযোগ পেলে আমাদের বাসায় চলে আসে, তার নাম আমার আম্মা দিয়েছে মোটকু কারণ তার মুখটা মোটা। মোটকু ঘরে আসলে অনেক সময় পিশাপ করে দেয় তাই ঢুকতে দেই না। মোটকুর সাথে মাও মাঝে মাঝে মারামারি করে। মাও এর পর আবারো প্রেগন্যান্ট হয়। আমাদের বাসার পাশেই তিনটা বাচ্চা হয়। বাচ্চা হওয়ার কয়েক দিন পরে আমাদের বাসায় মুখে করে নিয়ে আসে। একটা বাক্সে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দেই। এর পর আবার বাচ্চা গুলা অন্য জায়গায় নিয়ে যায় আবার দুই দিন পরে নিয়ে আসে। দিন দিন বাচ্চা গুলা বড় হতে থাকে। দুইটা বাচ্চা গায়ের রং ছিল পুরা কালো, আর একটার রং কালো-বাদামি মিশ্রিত। কালো বাচ্চাগুলো ছিল ছেলে আর বাদামী রঙেরটা মেয়ে বিড়াল। দিন দিন বিড়ালের বাচ্চাগুলো বড় হচ্ছিলো আর আমার চিন্তা বাড়ছিল কি করবো এগুলা, কারণ আমি পালাবো না, আমার এদের কে দেখার সময় নাই, এদের দেখা শোনা করা, পায়খানা পরিষ্কার করা এগুলাতে আমি বিরক্ত হচ্ছিলাম। একটু বড় হওয়ার পর আর বাক্সর ভিতর থাকতে চাইতো না, বাইরে থাকতে এবং খেলতে চাইতো। এদের চোখে অনেক ময়াল জমতো, চোখ সকালে খুলতে পারতো না। আমাদের পাশের বিল্ডিংয়ের এক ভদ্র মহিলা আমাকে চোখের ড্রপ দিতে বললেন পরে আমি কিনে এনে দেয়া শুরু করলাম অনেক কষ্টে কারণ বাচ্চাগুলো বিরক্ত হতো ড্রপ দিলে, খামচি মারতো আমাকে। ড্রপ দেয়াতে তাদের চোখ পরিস্কার থাকতো। নিচের ভিডিওতে আপনারা দেখতে পাবেন ছোট থেকে বিড়ালের বাচ্চাগুলোর বেড়ে ওঠার কিছু মুহূর্ত। বাচ্চাগুলোর বয়স ৪৫ দিন হওয়ার পর থেকে পোস্ট করতে থাকি ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে এডোপশনের জন্য। অনেকেই যোগাযোগ করে কিন্তু নিতে আর আসে না। এর পর দুই জন দুইটা বাচ্চা নিয়ে যায়। একটা বাচ্চা এক হয়ে যায় এবং তার মা মাও বাচ্চাদের খুঁজতো এবং চিৎকার করতো। আমাদের অনেক খারাপ লাগতো কিন্তু আমাদের করার কিছু ছিল না। আমার আব্বা আম্মা দুই জনই অসুস্থ। দুই দিন পর দুই ফ্যামিলি দুইটা বাচ্চাকে দিয়ে যায়। কারণ তাদের ঐখানে ঠিক মতো থাকছিল না এবং তারাও কন্ট্রোল করতে পারেনি। এর পর আবারো চেষ্টা করতে থাকি এবং তিনটা বাচ্চাকে এডোপশন দিয়ে দেই। বাচ্চাগুলার মা এক হয়ে যায়, মাঝে মাঝে বাচ্চাদের খুঁজতো, অন্যরকম শব্দ করতো, কাঁদতো, বাচ্ছাদের গন্ধ বাসার সবজায়গায় খুঁজতো, আমাদের অনেক খারাপ লাগতো মা এবং বাচ্চাদের আলাদা করে। এখন মাও স্বাভাবিক আছে, আগের রুটিনে আসা যাওয়া করে, ঘুমায়, খায়।

অনেকেই আছে তাদের বাসার আশপাশে কুকুর বিড়ালের বাচ্চা দেখলে দূরে কোথাও ফেলে দেয়, দয়াকরে এরকম করবেন না। বাচ্চা ছাড়া মা অনেক কষ্ট পায় এবং মা ছাড়া বাচ্চা কষ্টে থাকে, মারা যায়। আপনার আরামের জন্য অন্য বিবেকবান মানুষ, এনিম্যাল লাভারদের বিপদে ফেলবেন না। কারণ আপনার ফেলে আসা প্রাণীদের সে তো ফেলে দিতে পারে না। যদি সম্ভব হয় রাস্তার প্রাণীগুলোকে খেতে দিন আর খেতে না দিতে পারলেও অনুগ্রহ করে অবলা প্রাণীদের মারবেন না। আপনারা যারা ড্রাইভ করেন একটু দেখে গাড়ি চালাবেন।

Maw a black and white female cat and her newborn kittens grown up in our home. Capturing kittens grown-up moments and accumulating small clippings in this addition. Maw the black & white Cat brought her kittens in our flat and we gave them space for living. Given three kittens in adoption after 50 days of kittens age. Two black male kittens and one brown-ash female kitten adopted by two families from Dhaka. Please don’t throw your surrounding’s stray cat-dogs, kitten and puppies, help them, feed them. If you are unable to give food then please don’t beat stray animals.