fbpx
Select Page

Some organizations, individual peoples try to feed local cat, dogs in this Corona pandemic situation but that’s not enough for stray animals. They are hungry, not getting foods due to lock down and shops, restaurants closed. We have seen lot of dogs are getting weaker due to less food, those dogs are crying, shouting at night. Government can feed those animals, can take initiative for animals care, they can assign officials for animals care and feed. In this tough pandemic time animals are looking for food from localities, our responsibility to feed those poor souls. We can feed our localities dogs and cats daily one time, it can be save their lives. We are some friends from Mirpur 13, Dhaka trying to feed our local dogs in this tough situation. In this month of April, served food few times to local dogs but facing difficulties, main issue is financial problem, unable to provide daily foods without communities help. But we are trying our level best to provide foods for local dogs. I request to all of peoples from World, please give small amount of foods to your localities animals, they are not able to speak. Guys come forward and take initiative to feed animals in the crisis time.

এপ্রিল ৭, ২০২০: আমরা বেশ কিছু কুকুর কে খাইয়েছি, মিরপুর ১৩ নম্বর এবং বাইশটেকি এলাকায়, সামনে আবারো চেষ্টা করবো খাওয়াতে, আপনাদের আশপাশের অভুক্ত প্রাণীদের খাবার দিন। ধন্যবাদ ঘরোয়া স্বাদ by Sumaiya এর সুমাইয়া সালাহউদ্দিন এবং Md Salahuddin Hasan কে সবকিছু ব্যবস্থা করার জন্য।

এপ্রিল ৮, আমরা বেশ কিছু কুকুর কে খাইয়েছি, মিরপুর ১৩ নম্বর B Block এবং Senpara এলাকায়, সামনে আবারো চেষ্টা করবো খাওয়াতে, আপনাদের আশপাশের অভুক্ত প্রাণীদের খাবার দিন। ধন্যবাদ Nishat Faiyaz for Arrangement and cooking.

এপ্রিল ১১, আমরা ৮০-৯০ টা কুকুর কে খাইয়েছি, মিরপুর ১৩ নম্বর এবং বাইশটেকি এলাকায়, সামনে আবারো চেষ্টা করবো খাওয়াতে, আজকে পলাশনগরে একটা কুকুর পেলাম যে খুব ক্ষুধার্ত ছিল, ৩ ব্যাগ খাবার খেয়েছে। আপনাদের আশপাশের অভুক্ত প্রাণীদের খাবার দিন। খাবার দিতে গেলে কিছু কিছু মানুষ নেগেটিভ পাওয়া যায় কিন্তু বেশি ভাগ মানুষ খুব পসিটিভ ও Appreciating, ধন্যবাদ সবাইকে খাবার দিয়ে, রান্না করে, বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন, সবাই মিলে চেষ্টা করলে আমরা আরো প্রাণীদের খাওয়াতে পারবো। আপনারা কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে যোগাযোগ করবেন।

এপ্রিল ১৩, আমরা ৫৩ টা কুকুরকে খাওয়াতে পেরেছি, ৪ কেজি চালের সাথে ৩ কেজি মাংস রান্না করা হয়, অনেক ধন্যবাদ সুমি আপাকে যিনি রান্না করে দিয়েছেন, তার সাথে মঞ্জু, রতন এবং মনির কে। আর এক জন ব্যক্তি যিনি আজকে খাবারের জন্য ৫০০ টাকা দিয়েছেন। আপনারা আশপাশের অভুক্ত প্রাণীগুলোকে খাওয়ান, অনেক প্রাণী না খেয়ে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে, রাতে ক্ষুধার যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। দয়াকরে যত টুকু সম্ভব তাদের কে খাবার দেয়ার চেষ্টা করুন। আমরা আবারো চেষ্টা করব খাওয়াতে কেউ আমাদের সহযোগিতা করতে চাইলে ইনবক্স করবেন।

এপ্রিল ১৪, শুভ নববর্ষ, কঠিন সময়ে নতুন বছর আসলো, আজকেও আমরা মোটামুটি ৪০ টা কুকুরকে খাওয়াতে পেরেছি, মিরপুর ১১, এভিনিউ ৫ এ, কিছু কুকুর রাতে কান্নাকাটি করে ক্ষুধায়, নিশাত আপু আজকের খাবারের ব্যবস্থা ও রান্না করেন। আপনারাও এলাকার অভুক্ত কুকুর বিড়ালদের অন্তত প্রতিদিন একবার খাবারের ব্যবস্থা করুন। অনেক প্রাণী ক্ষুধায় কাতরাচ্ছে। আমরাও চেষ্টা করবো আমাদের এলাকা মিরপুর ১৩ অভুক্ত প্রাণীদের খাওয়াতে। সবার সহযোগিতা প্রয়োজন, ২-১ জনের পক্ষে প্রতিদিন খাবারের ব্যবস্থা করা সম্ভব না। যাই পারেন ভাত, রুটি, বিস্কুট দিয়ে একটা কুকুরকে খাওয়ান। ধন্যবাদ তুষার, মনির, দর্পন, জাকির ভাই কে।

এপ্রিল ১৭, আজকে আমরা মিরপুর ১৩ বি ব্লক, সি ব্লক এবং ১৪ ডি এলাকার ৫৬ টা কুকুরকে খাওয়াতে পেরেছি, ৪ কেজি চালের সাথে ২ কেজি মাংস রান্না করা হয়, অনেক ধন্যবাদ সুমি আপাকে যিনি রান্না করে দিয়েছেন, তার সাথে মঞ্জু, দর্পন এবং মনির কে। আজকের খাবার দিয়েছেন মিরপুর বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৪ ব্যাচ এর এক বড় ভাই, তিনি আমাদের পোস্ট দেখে যোগাযোগ করেন। ভাইয়ের জন্য শুভকামনা। আজকে আমাদের বেশ কয়েকবার পুলিশের সম্মুখহীন হতে হয়। কুকুরদের খাবার দিচ্ছি এটা বলার এবং দেখার পর ও একটা পুলিশ আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে, যা ছিল দুঃক্ষজনক। সব মানুষ যেমন কুকুরদের খাবার দেয়াটা ভালোভাবে নিতে পারে না, হয়তো কাফরুল থানার PPE পরিহিত সেই পুলিশ টাও সেই স্বভাবের লোক। যাই হোক আমরা হতাশ হইনি, আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাবো। ইনশাল্লাহ রবিবারে আবারো খাবার দেয়ার জন্য বের হব। আপনারা আশপাশের অভুক্ত প্রাণীগুলোকে খাওয়ান, অনেক প্রাণী না খেয়ে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে, রাতে ক্ষুধার যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। দয়াকরে যত টুকু সম্ভব তাদের কে খাবার দেয়ার চেষ্টা করুন।

এপ্রিল ১৯, আজকে বিকালে আমরা মিরপুর ১৩ বাইশটেকিতে প্রায় ৬০ টা কুকুরকে খাওয়াতে পেরেছি, অনান্য দিনের মতো এবারও সুমি আপা রান্না করে দিয়েছেন। আজকে মনির অসুস্থ ছিল, তার সুস্থতার জন্য শুভকামনা। ধন্যবাদ রনি, দর্পন , সুমন এবং মনির ভাই কে সাহায্য করার জন্য। সামনে আমাদের কাজ অব্যাহত থাকবে, আপনাদের সহযোগিতাও প্রয়োজন, আমাদের ১৩ নম্বর সেকশন এ প্রায় ৩০০ কুকুর আছে, প্রতিদিন খাওয়ানো আমাদের পক্ষে সম্ভব না। আপনারাও আশপাশের কুকুর বিড়ালদের খাবার দিন। কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে ইনবক্স করবেন। আমাদের কিছু বন্ধু ১৩ নম্বরে প্রতিদিন ১০০ জন গরিব কে এক বেলা খাবারের উদ্যোগ নিয়েছে, কেউ চাইলে চাল, ডাল, আলু, তেল, সবজি দিয়ে তাদের কে সহযোগিতা করতে পারেন।

এপ্রিল ২২, আজকে প্রায় ৬০ টা কুকুরকে খাওয়াতে পেরেছি। আজকে রান্না করে দিয়েছে সুমাইয়া এবং সালাউদ্দিন,আমার বোন কিছু টাকা দিয়েছে খাওয়ানোর জন্য, মনির অসুস্থ ছিল, তার সুস্থতার জন্য শুভকামনা। আজকে আমরা একটা পরিবারকেও সহযোগিতা করেছি। ধন্যবাদ যারা আমাদের সহযোগিতা করছেন সবাইকে, যারা পোস্ট দেখতে দেখতে বিরক্ত অথবা কুকুরকে খাওয়ানো পছন্দ করেন না, তারা কষ্ট করে পোস্ট হজম (Digest) করেন। সামনে আমাদের কাজ অব্যাহত থাকবে, আপনাদের সহযোগিতাও প্রয়োজন, আমাদের ১৩ নম্বর সেকশন এ প্রায় ৩০০ কুকুর আছে, প্রতিদিন খাওয়ানো আমাদের পক্ষে সম্ভব না। আপনারাও আশপাশের কুকুর বিড়ালদের খাবার দিন।

এপ্রিল ২৪, আজকে প্রায় ৪৫ টা কুকুরকে খাওয়াতে পেরেছি ১৩ নম্বর বি ব্লকের কিছু অংশ এবং বাইশটেকিতে। আজকে রান্না করে খাবার দিয়েছেন ইব্রাহিমপুর থেকে সুইটি আপু। এছাড়াও আমাদের বন্ধুদের কিছু সমিল্লিত চেষ্টায় নোয়াখালীতে গরিব লোকজনের ইফতার, ঈদের সেমাই, চিনির জন্য কিছু টাকা পাঠিয়েছি এবং একটা পরিবার কে রমজানের বাজার করার জন্য টাকা দেয়া হয়েছে। বাইশটেকিতে কিছু কুকুরের খাবারের জন্য একজন ব্যক্তিকে কালকে ইনশাআল্লাহ বাজার করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সৈয়দপুর, কেরানীগঞ্জ থেকে দুইজন বন্ধু কিছু টাকা পাঠিয়েছেন খাবারের জন্য। ধন্যবাদ যারা আমাদের সহযোগিতা করছেন সবাইকে, যারা পোস্ট দেখতে দেখতে বিরক্ত অথবা কুকুরকে খাওয়ানো পছন্দ করেন না, তারা কষ্ট করে পোস্ট হজম (Digest) করেন। সামনে আমাদের কাজ অব্যাহত থাকবে, আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, আমাদের ১৩ নম্বর সেকশন এ প্রায় ৩০০ কুকুর আছে, প্রতিদিন খাওয়ানো আমাদের পক্ষে সম্ভব না। আপনারাও আশপাশের কুকুর বিড়ালদের খাবার দিন। কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে ইনবক্স করবেন। আমাদের কিছু বন্ধু ১৩ নম্বরে প্রতিদিন ১০০ জন গরিব কে এক বেলা খাবারের উদ্যোগ নিয়েছে, কেউ চাইলে চাল, ডাল, আলু, তেল, সবজি, মুরগি দিয়ে তাদের কে সহযোগিতা করতে পারেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে নামাজ, রোজা করার তৌফিক দিক এবং গুনাহ সমূহ মাফ করুক।

এপ্রিল ২৫, আজকে চাল, মুরগির মাথা পা গীলা কলিজা, কিনে দেয়া হয়েছে বাইশটেকিতে কিছু কুকুরকে খাওয়ানোর জন্য। বাইশটেকিতে এক ব্যক্তি কিছুদিন আগে পিটিয়ে দুইটি কুকুরের বাচ্চাকে মেরে ফেলে, ওই এরিয়াতে গেলে বাচ্চা গুলাকে দেখতাম এবং খাবার দিতাম এবং আরো কিছু কুকুরকে আহত করে, খবরটি আজকে জেনে আমরা খুব মর্মাহত হলাম। রাস্তার অবলা প্রাণীদের খাবার না দেন, দয়া করে মারবেন না। আমাদের এক বন্ধু মিরপুর ১৩ থেকে কিছু টাকা contribute করেছেন খাবারের জন্য। আজকে দেখলাম ক্ষুধার্ত হয়ে কুকুরটা সবজির ছিলকা খাচ্ছে, আপনার আশপাশের অবলা প্রাণীদের অল্প হলেও খাবার দিন অথবা উচ্ছিষ্ঠ অংশ না ফেলে কুকুর বিড়ালদের দিন।

এপ্রিল ২৭, আমরা প্রায় ৬০ টি কুকুরকে খাওয়াতে পেরেছি। আজকে রান্না করে দিয়েছিলো সেলিনা, অনেক ধন্যবাদ উনাকে রোজা রেখে কষ্ট করার জন্য। আজকে বাইশটেকির ভিতরে যেয়ে জানতে পারলাম দুইটা কুকুর না খেয়ে মারা গেছে, শরীরের হাড় বের হয়ে গেসিলো, আমরা যদি জানতাম এই অবস্থা আরো আগে থেকে ঐখানে খাবার দিতাম। আপনাদের আশপাশে এরকম অনেক প্রাণী মারা যাচ্ছে, অল্প হলেও খাবার দিন। পরবর্তীতে চেষ্টা করবো জোড়া খাম্বা এবং এভিনিউ ৫ এর দিকে দিতে, ওই দিক থেকে ক্ষুধার্ত কুকুরের আওয়াজ পাওয়া যায়। আজকে পলাশ নগরে একটা কুকুর দেখেছি যে কিনা খাবারের অভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে উঠে দাঁড়াতে পারছে না।

এপ্রিল ৩০, গতকাল রাতে আমরা এভিনিউ ৫ এবং বি ব্লক ১৩ নম্বরের প্রায় ৫০ টা কুকুরকে খাওয়াতে পেরেছি। অনেক কুকুর না খেয়ে আছে, দুর্বল হয়ে পড়েছে, দয়া করে অভুক্ত প্রাণীদের অল্প করে হলেও খাবার দিন।

মে ১, রাতে মিরপুর ১৩ তে ৭০ টি কুকুরকে খাওয়াতে পেরেছি। এক বন্ধু একটা টার্কি মুরগি দিয়েছিলো সেটা আজকে রান্না করা হয় ৫ কেজি চালের সাথে। সুমি আপাকে ধন্যবাদ রান্না করে দেয়ার জন্য। কুকুরকে খাওয়াতে যেয়ে বোঝা যায় কত মানুষের যে সমস্যা কুকুর বিড়াল নিয়ে। নিজে তো খাওয়াবে না উল্টা কেউ খাওয়ালে তার সমস্যা। আমাদেরকে একজন রান্না করে দেন, তার পিছে কিছু লোকজন লেগেছে, সে কেন রান্না করে, শুনলাম কিছু কুকুরকে বাইশটেকিতে মারা হয়েছে রাতে। কালকে রাতে ঘটনা শুনে মনে হয়েছে কুকুরকে খাওয়ানোর জন্য তাদের কে বিপদের মুখে ফেলে দিচ্ছি না তো? না খেয়ে মারা যেত এখন খাওয়ানোর জন্য কুকুরকে পিটানো হচ্ছে। এক ব্যক্তি পিটিয়ে মেরে ফেলেছে কিছুদিন আগে। অনেক কুকুর পেয়েছি যাদের হাড় বের হয়ে গেছে না খেতে পেয়ে, অনেক কুকুর উঠে দাঁড়াতে পারছে না এতটাই দূর্বল। আপনাদের কাছে নিবেদন খাওয়াতে না পারেন দয়াকরে মারবেন না। অনেকে পরিচিত লোক জন চেষ্টা করে যাচ্ছে রাস্তার প্রাণীদের খাওয়াতে, পারলে তাদের কে সাহায্য করুন। আমাদের চেষ্টা চলতে থাকবে, খালি কুকুর না মানুষকেও খাবার দেয়ার চেষ্টা অব্যহত আছে আমাদের। আপনাদের সবার সাহায্য প্রয়োজন। সাহাবীরা জিজ্ঞাসা করলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের চতুষ্পদ জন্তুগুলোকে পানি পান করালেও কি সাওয়াব পাব? নবী (স.) উত্তরে বলেন – প্রতিটি জীবকে পানি পান করালেই সাওয়াব পাওয়া যাবে”। (সহীহুল বুখারি, হাদিস নম্বর – ২৫৫২, ৩৩২১ এবং সহীহ মুসলিম, হাদিস নম্বর – ৫৯৯৭, ৫৯৯৮) আজকে এক বন্ধু ৩ টি টার্কি মুরগি দিয়েছে গরিব মানুষ কে খাওয়াতে এবং ১ টি মুরগি রাস্তার কুকুরদের খাবারের জন্য। এর সাথে আরো দুইজন বন্ধু কিছু টাকা Contribute করেছে কুকুরদের খাবারের জন্য। ৪ তারিখে ইনশাল্লাহ রান্না হবে ইফতার দেয়ার জন্য তার সাথে কুকুরদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করবো।

মে ৫, আলহামদুলিল্লাহ অনেকে এগিয়ে আসায় আজকে আমরা ২৫০ পরিবারকে ইফতারের জন্য খাবার দিতে পেরেছি, এর সাথে রাতে প্রায় ৬০ টি কুকুরকে খাবার দিয়েছি, অনেকেই কান্ট্রিবিউটে করেছেন আজকে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা, সামনেও আমাদের কার্যক্রম চলবে, আপনাদের সহায়তা কামনা করছি। আজকে অনেক খোঁজার পর অসুস্থ কুকুরটাকে পেয়েছি, কয়েকদিন আগে মারা হয়েছিল বিগত পোস্টে উল্লেখ করেছিলাম। সে এখন মানুষকে দেখলে ভয় পায় তাকে শুনেছি রড দিয়ে মারা হয়েছে এবং তার পায়ের অবস্থা ভালো না, পোস্ট এ ছবি দিয়েছি দেখতে পাবেন, আরো একটা কুকুরকে কেউ মেরেছে পায়ে রক্ত এবং নখ উঠে গেছে। সবার প্রতি নিবেদন দয়াকরে অবলা অভুক্ত প্রাণীদের মারবেন না, অনেক পোস্ট দেখি কুকুর, বিড়াল কে মেরে ফেলছে কিছু মূর্খ লোক জন, আপনার এলাকায় হলে প্রতিবাদ করুন, নিজ নিজ এলাকার অভুক্ত প্রাণীদের খাবার দেয়ার চেষ্টা করুন। মানুষ চেয়ে একবেলার খাবার জোগাড় করতে পারে কিন্তু অবলা প্রাণীরা চাইতে পারে না।

মে ৮, রাতে আমরা ৭০-৮০টি রাস্তার কুকুরকে খাবার দিয়েছি। আমাদের বন্ধুদের কান্ট্রিবিউশনের কারণে পথ কুকুরদের খাওয়ানোর কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছি। কষ্ট করে যিনি রান্না করে দিয়েছেন, তার জন্য সবাই দোআ করবেন। আজকে এভিনিউ ৫, বাইশটেকি এবং ১৩ নম্বর সি ব্লকের কিছু অংশে বন্ধুদের বাইক নিয়ে খাবার দিয়েছি। রবিবারে বড় পরিসরে আমরা খাবার রান্না করবো, যারা সমস্যায় আছেন তাদের কে ইফতার দেয়ার চেষ্টা করবো, তার সাথে রাস্তার প্রাণীদের ও খাবার দিবো। ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা কান্ট্রিবিউশন করেছে এবং করবে বলে জানিয়েছে।

মে ১০, সকল মায়ের জন্য ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা। আজকে আমাদের বন্ধুদের চেষ্টায়, এই বিশেষ দিনে অনেক অস্বচ্ছল পরিবারকে ইফতার করাতে পেরেছি, অনেক মা এবং তার সন্তানদের একবেলা খাওয়াতে পেরেছি। প্রায় ৫০০ জনকে ইফতার দেয়ার পাশাপাশি আমরা অনেক পথ কুকুরদের রাতের বেলা খাবার দিয়েছি। আজকে বিকালে আমরা বন্ধুরা মিলে বাইকের মাধ্যমে মিরপুর ১০ থেকে মিরপুর ১৪ নম্বরে অনেক অস্বচ্ছল মানুষকে ইফতার দিয়েছি। রাতে বাইক নিয়ে মিরপুর ১১, মিরপুর ১৩, মিরপুর ১৪ এবং ভাষানটেকের কিছু অংশে পথ কুকুরদের খাবার দিয়েছি। ধন্যবাদ জানাচ্ছি সবাইকে যারা আর্থিক এবং শারীরিক ভাবে আমাদের কে সাহায্য করেছেন। আমাদের প্রচেষ্টা চলতে থাকবে, পরিকল্পনা করছি ঈদের দিন আমরা রান্না করে পথ কুকুরদের খাবার দিবো।

মে ১৩, আজকে রাতে আমরা প্রায় ৭০ টি কুকুরকে খাবার দিয়েছি বাইশটেকি এবং এভিনিউ ৫ এর দিকে। একটা কুকুরকে নিয়ে পোস্ট করেছিলাম যাকে মেরে পায়ের অবস্থা খারাপ করে দিয়েছে, হয়তো পা কেটে ফেলতে হতে পারে, সে এখন একটা শেল্টারে আছে, আপনারা কেউ চাইলে সাহায্য করতে পারেন। এছাড়াও আর একটা কুকুরকে আমরা দুই দিন খোঁজার চেষ্টা করেও পায়নি ১৩ নম্বর বাজারে, তাকে ও কেউ মেরেছে, ভালো মাত্রায় আহত শুনেছি। আমাদের চেষ্টা অব্যহত থাকবে। আপনাদের সহায়তা প্রয়োজন। খেতে না দেন অনুগ্রহ করে অবলা রাস্তার প্রাণীদের মারবেন না। কাউকে মারতে দেখলে প্রতিবাদ করুন।

মে ১৬, আজকে রাতে প্রায় ৭০ টি কুকুরকে খাবার দিতে পেরেছি বাইশটেকি এবং ১৩ নম্বরের। অত্যন্ত কষ্টের বিষয় হলো বাইশটেকিতে কিছু মানুষ কুকুরদের মারছে, একটা কুকুরের হয়তো পা কেটে ফেলতে হতে পারে, আজকে রাতে দেখলাম বিশুকে (কুকুরের নাম) কেউ মেরেছে, শুনলাম অনেকে ইট মারে, কুকুর দেখলে তাড়িয়ে দেয়। বিশুর পায়ে ব্যথা থাকায় ৩ পায়ে হাটছে। এর আগে বিশুকে কয়েকবার চিকিৎসা করানো হয়েছে। বিশুর সুস্থতার জন্য দোআ করবেন। বাইশটেকিতে একটা মেয়ে সেলিনা খাবার রান্না করে দেয়, সেই জন্য তাকে বাসা ছাড়ার হুমকি এবং বিভিন্ন ভাবে আশেপাশের লোকজন চাপ দিচ্ছে যেন সে আর রান্না না করে। রাস্তার প্রাণীদের খাবার দিতে যেয়ে দেখছি কত মানুষের সমস্যা খাবার দেয়া নিয়ে। রবিবারে আবারো রান্না হবে, রবিবার গরিব মানুষের বাসায় ইফতার দেয়া হবে। আপনাদের সবার সহযোগিতা প্রয়োজন, আমরা আমাদের মতো চেষ্টা ও সহায়তা করে যাবো।

বাইশটেকি শেষ মাথায় কিছু বাড়িওয়ালাদের প্রেসারের কারণে একজন প্রাণী সেবী বিপদে, তাকে তার ভাড়া বাসা ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হচ্ছে, এমন এক মানুষ সে কুকুরের কামড় খেয়ে ও কুকুর বিড়ালের সেবা করে যাচ্ছে। অনেক মানুষ এবং পরিবারের প্রেসার একজনের ফেস করা কঠিন। মেয়েটা আমাদের কুকুরের জন্য খাবার রান্না করে দিতো আপাতত তার রান্না এবং খাবার দেয়া বন্ধ। আমাদের কাজ আমরা চালিয়ে যাবো। আমাদের টাকা খরচ করে, কষ্ট করে খাবার রান্না করে রাস্তার প্রাণীদের দিলেও কত মানুষের যে সমস্যা, রাস্তায় বের না হলে বোঝা যায় না। আসায় থাকলাম এসব ননসেন্সদের সেন্স আপগ্রেড হবে কোনো এক সময়।

মে ২০, আজকে আবহাওয়া খারাপ থাকায় আমাদের খাবার দিতে কিছুটা সমস্যা হয়েছে তারপরও প্রায় ৮০টি কুকুরকে খাবার দিতে পেরেছি। সুমি আপা কষ্ট করে রোজা রেখে রান্না করে দিয়েছেন। আজকে এক জন প্রাণী প্রেমী কিছু টাকা ডোনেট করেছেন রাস্তার প্রাণীদের খাবারের জন্য। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যেন বাইশটেকির মেয়েটাকে (রান্না করে দিত) বাসা ছাড়তে না হয়। আপনারাও অভুক্ত প্রাণীদের খাবার দিন, চেষ্টা করবো ঈদের দিন ও খাবার দেয়ার, আপনারাও আমাদের সাথে যুক্ত হতে পারেন। মানুষের জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যহত আছে।

মে ২৩, আজকে রাতে ১১ নম্বর, ১৩ নম্বর এবং বাইশটেকিতে প্রায় ৮০ টি কুকুরকে খাবার দিতে পেরেছি, আমাদের বন্ধু শাহীন এসেছিলো সাহায্য করতে, সুমি আপা রান্না করে দিয়েছেন। এছাড়াও আমরা ৬ টা পরিবারকে জাকাতের টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছি। আপনারা সবাই জাকাত দিন এবং কষ্টে থাকা মানুষদের সাহায্য করুন, সবাইকে ধন্যবাদ যারা এগিয়ে আসছেন আমাদের কাজে কান্ট্রিবিউট করছেন। বৃষ্টি হলে আপনার আশপাশের জায়গাতে রাস্তার প্রাণীদের আশ্রয় নিতে দিন, মারবেন না। ঈদের রাতে রান্নার ব্যবস্থা করতে না পারায় খুব বেশি কুকুরকে আজকে খাওয়াতে পারি নাই। তারপরও নিজাম মামার সহযোগিতায় কিছু কুকুরকে খাবার দিতে পেরেছি।

মে ২৬, ঈদের রাতে রান্নার ব্যবস্থা করতে না পারায় খুব বেশি কুকুরকে আজকে খাওয়াতে পারি নাই। তারপরও নিজাম মামার সহযোগিতায় কিছু কুকুরকে খাবার দিতে পেরেছি।

জুন ২, গতকাল রাতে বৃষ্টিতে ভিজে আমরা প্রায় ৭০টি কুকুরকে খাবার দিয়েছি। হোটেল, দোকান চালু হওয়ায় রেগুলার খাবার দেয়া বন্ধ থাকবে কিন্তু চেষ্টা থাকবে রাস্তার প্রাণীদের মাঝে মাঝে খাবার ও চিকিৎসা দেয়ার। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ যারা সময় এবং অর্থ দিয়ে আমাদের সাহায্য করেছেন। আমরা সবাই আমাদের বাসার আসেপাশের অভুক্ত প্রাণীদের অল্প করে খাবার দেয়ার চেষ্টা করবো। দয়াকরে রাস্তার প্রাণীদের মারবেন না, বৃষ্টি হলে এদের কে বাসার সামনে, দোকানের সামনে, শুকনা জায়গায় আশ্রয় দিন। এছাড়াও কষ্টে থাকা মানুষগুলোর জন্য কিছু করার আমাদের চেষ্টা অব্যহত থাকবে। সবার সাহায্যে গত ৩ মাসে আমরা অনেক পরিবার কে সহায়তা করতে পেরেছি এবং অনেক রাস্তার প্রাণীদের খাওয়াতে পেরেছি। সবার জন্য শুভকামনা থাকলো।

মানুষকে সচেতন করার জন্য এত কিছু লেখা এবং ছবি দেয়া। আমি বিশ্বাস করি ভালো কাজ গুলো অনেক সময় তুলে ধরলে অনেকে সেটা দেখে অনুপ্রাণিত হয়। আপনার এলাকার অভুক্ত প্রাণীদের প্রতিদিন একবার হলেও খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য চেষ্টা করুন। আমরাও অবলা প্রাণীদের জন্য কিছু করার চেষ্টা চালিয়ে যাবো।